পরে পস্তানোর থেকে উত্তম হলো আগে জেনে নেয়া। ডেলোলাপার দিয়ে ওয়েব সাইট ডেভোলাপ করানোর আগে কিছু সার্ভিস সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন। কেকনা এগুলো ছাড়াও একটি সাইট আপনাকে ডেভোলাপ করে দেয়া যাবে হয়ত কিন্তু পরবতীতে আপনি সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই আগে থেকেই সতর্কতার সহীত সার্ভিসগুলো সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া ভালো। আপনি যেভাবে ওয়েবসাইট চাচ্ছেন সেভাবে হয়ত ডেভোলাপ করে দেয়া হলো কিন্তু আপনি নিজেও হয়ত জানেন না তার মধ্যে কোন ত্রুটি থাকতে পারে যা আপনাকে পরবর্তীতে সমস্যায় ফেলবে।
যেমন, আপনি চাইলেন আপনার ওয়েবসাইটে একটি ইউজার প্যানেল থাকবে যেখানে তারা তাদের ছবি এড করতে পারবে। কিন্তু আপনি জানেন না হয়ত, সঠিকভাবে ছবি এড করার অপশন দেয়া না হলে আপনার সাইটটি হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
নিচে কমন ১০ টি সার্ভিস যা অবশ্যই জেনে নিয়ে ওয়েব ডেভোলাপিং শুরু করবেন।
১। লগো: ওয়েব ডেভোলাপিং সার্ভিসের সাথে ওয়েবসাইটের জন্য একটি ক্রিয়েটিভ লগো তৈরি করে দেয়া হবে কি না সেটা অবশ্যই জেনে নিবেন। কেননা একটি লগো থাকতে হয় প্রতিটি ওয়েবসাইটে। আর লগোর মান ভালো না হলে ওয়েবসাইটের ডিজাইন ও ডেভোলাপিং ব্যাথা। প্রয়োজনে আলাদা বাজেট রাখুন সুন্দর একটি লগো তৈরি করে দেয়ার জন্য। তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের মান বাড়বে।
২। মোবাইল ফ্রেন্ডলী: ইন্টারনেট এখন মানুষের হাতে হাতে। অধিকাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তাদের মোবাইল দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। আপনি যে সাইট ডেভোলাপ করাচ্ছেন সেটা মোবাইল ফ্রেন্ডলী হবে কি না তা তো অবশ্যই জানতে হবে। তা না হলে দেখা যাবে মোবাইল দিয়ে ভিজিট করলে কন্টেন্ট ঠিকভাবে দেখাচ্ছে না। পরে ঝামেলায় পড়ার থেকে ভালো আগে সার্ভিসটি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নেয়া।
২। মোবাইল ফ্রেন্ডলী: ইন্টারনেট এখন মানুষের হাতে হাতে। অধিকাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তাদের মোবাইল দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। আপনি যে সাইট ডেভোলাপ করাচ্ছেন সেটা মোবাইল ফ্রেন্ডলী হবে কি না তা তো অবশ্যই জানতে হবে। তা না হলে দেখা যাবে মোবাইল দিয়ে ভিজিট করলে কন্টেন্ট ঠিকভাবে দেখাচ্ছে না। পরে ঝামেলায় পড়ার থেকে ভালো আগে সার্ভিসটি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নেয়া।
৩। এসইও: অন পেইজ বা অফ পেইজ সার্চ ইঞ্জিণ অপটিমাইজেশন সার্ভিসটি ডেভোলাপিং চার্য়ের সাথেই করে নেয়া ভালো। এতে খরচ কমবে। তাছাড়া ওয়েব সাইটটি সার্চ ইঞ্জিণ বান্ধব কি না তা জানা জরুরী। প্রতিটি পেইজে, প্রতিটি টিউনে কীওয়ার্ড সঠিকভাবে দেয়া হচ্ছে কি না তা জানা আবশ্যক। পাশাপাশি ৫০৫ এরর পেইজ তৈরি করা এবং পাশাপাশি কোন লিংকে ত্রুটি আছে কি না তা দেখে নিন। ভিজিটর জেনো সাইটটি ভিজিট করে বিরক্ত না হয় তাই সাইটটিতে খুব বেশী কালার এবং চোখে ধরার মতো ফন্ট ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকুন।
৪। সিকিউরিটি: হ্যাকিং যে হারে বাড়ছে তাতে ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি কেমন হবে সেটা আগেই জেনে নিন। তাছাড়া ডেভোলাপিং ত্রুটির জন্যও হ্যাকিং হতে পারে। অনেক বড় বড় ওয়েবসাইটেও পরবর্তীতে ডেভোলাপিং ত্রুটি ধরা পড়ে তাই প্রতিনিয়ত এসব বিষয় খেয়াল রাখা হবে কি না তা আগে থেকেই জেনে নিন।
৫। প্লাটফরম নির্বাচন: html
না কি php ? না কি CMS (WordPress, Joomla, Drupal)? কোন প্লাট ফরমে ওয়েবসাইট তৈরি করবেন? আপনার সার্ভিস অনুযায়ী সেটা আগেই নির্বাচন করতে হবে।
৬। ডোমেইন নেম: অনেকেই ডেভোলাপারকে দিয়েই ডোমেইন চোজ ও ক্রয় করিয়ে থাকেন। যদিও আমি মনে করি এজন্য এসইও এক্সপার্ট আলাদাভাবে নির্বাচন করানো উচিত। অনেকে ডেমেইন কিনেন ঠিক কিন্তু অথোরাইজেশন কোড নিতে ভুলে যান। পরবর্তীতে ডোমেইন চুরি হয়ে যায় বা অন্য কোথাও থেকে ট্রান্সফার করতে চাইলে ঝামেলায় পড়তে হয়। তাছাড়া ভালো একটি ডোমেইন নেম এর উপর নির্ভর করবে আপনার সাইটের কোয়ালিটি ও ভিজিটর ট্রাকটিভিটি।
৭। হোষ্টিং: হোষ্টিং নির্বাচন করার আগে দেখে নিতে হবে আপনার হোষ্টিং প্রবাইডার আপডেট সকল সুবিধা দিচ্ছে কি না? php এর অনেক আপডেট থীম ও স্ক্রীপট আপনি ব্যবহার করতে পারবেন না যদি আপনার হোষ্টিং সেটা সাপোর্ট না করে। প্রায় সময় আমরা ডেভোলাপারকে দিয়ে হোষ্টিং নিয়ে থাকি। তাই আপনি কেমন হোষ্টিং ব্যবহার করছেন সেটা আপনার জানার অধিকার আছে। তাছাড়া কেমন ভিজিটর কেপাসিটি রয়েছে সেটাও তো জানতে হবে।
৮। কপিরাইট: ওয়েবসাইটে এমন কোন স্ক্রীপট বা টুলস ব্যবহার করা হচ্ছে কি না যেটার জন্য আপনার ওয়েবসাইট ব্যান করে দেয়া হতে পারে। তাই শুধুমাত্র ওয়েব ডেভোলাপিং করলেই হবে না। এই বিয়ষটিও মাথায় রাখতে হবে।
৯। বিজ্ঞাপন স্পেস: আপনার ওয়েবসাইটের ধরন অনুযায়ী বিজ্ঞাপন করার মতো স্পেস রাখতে হবে। শুধু স্পেস রাখলেই হবে না সেটা জায়গামত এবং সাইজের মাফ ঠিক রেখে আছে কি না সেটা দেখতে হবে। আমরা ইদানিং লক্ষ্য করেছি অনেক সাইটে ভিজিট করে আরটিকোলঠিকমতো পড়া যায় না বিজ্ঞাপন এর কারনে। সাইটটি হয়ত যে স্ক্রীনের মনিটর দিয়ে ডেভোলাপ করা হয়েছে সেখানে ঠিক আছে কিনতু অন্য সাইজের মনিটরে সেটাকে সেভাবে দেখাচ্ছে না। তাই ভিজিটর বিরক্ত হওয়ার আগে এটিও দেখা উচিত।
১০। সাপোর্ট: যেকোন প্রয়োজনে আপনার ডেভোলাপারের সাপোর্ট প্রয়োজন হতে পারে। তাই ডেভোলাপিং শেষেও পরবর্তী ১ বছরের জন্য অন্ত্যত্য সাপোর্ট নিশ্চত হয়ে তবেই ডেভোলাপার নির্বাচন করুন।
ওয়েব ডেভোলাপিং এর জন্য এখানেই শেষ নয়। আরো অনেক বিষয় রয়েছে যা আপনার ডেভোলাপারের সাথে আলোচনা করার প্রয়োজন আছে। তাই ডেভোলাপারের সাথে বসুন এবং প্রয়োজনে লিখিত চুক্তি করে তবেই আপনার মহামূল্যবান ডেভোলাপার নিয়োগ দিন।