যদিও শীত নিয়ে অনেক কবিতা আছে, সাহিত্য রচনা হয়েছে।আবার শীতের পিঠা উৎসব আয়োজন হয়। কিন্তু সেই শীতের আগমন উপলক্ষ্যে বাংলা সংস্কৃতিতে কোন আয়োজন নাই।
বর্ষা বা বসন্ত বরণের মত বাঙ্গালী সংস্কৃতিতে শীত বরণের কোন আয়োজন থাকলে ভালই হত। বসন্তে বা বৈশাখে যেমন মাতামাতি হয় শীত বরণ নিয়ে তেমন কোন মাতামাতি নাই। শীত বরণ নিয়ে কবি সাহিত্যও তেমনভাবে রচনা হয় নি। শীতের প্রতি এই উদাসিনতা সর্বকালেই। বাঙ্গালী জীবন থেকে শীত উৎযাপন বাদ পড়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে, শীতকে হয়ত বড় বড় লেখকেরা তেমন পছন্দ করতেন না। কিংবা শীতের আগমন সাহিত্যিকদের কিছু আলস করে দিত।
বাঙ্গালী সংস্কৃতিতে শীত বরণ বা উৎযাপন খুব খারাপ হবে না। সবাই শীতের নতুন জামা গায়ে দিয়ে সেলফী তুলে স্ট্যাটাস দিবে। ব্যবসায়ীদের এতে লাভ হবে। কেউ কেউ এই দিনে হয়ত শীত বস্ত্র বিতরণ করার মাধ্যমে দিনটি উৎযাপন করবে। এতে বস্ত্রহীন মানুষগুলো শীতের বস্ত্র নিয়ে আনন্দ করবে।
শীত হয়ত বাঙ্গালীদের ঘরমুখি ও অলস করে তুলে তাই শীত উৎযাপন করা হয়ে উঠে নি।