ঢাকায় পুলিশের এসআই পদে নিয়োগ দান চলছে। এসপি সাহেব নিজেই মৌখিক পরীক্ষা নিচ্ছেন। লাস্ট ক্যান্ডিডেট এর সাথে কিছু কথা বলার পরে এসপি জিজ্ঞেস করলেন, ‘বলুনতো গীতাঞ্জলি কে লিখেছে?’
লোকটি উত্তর দেয়ার আগেই এসপি’র ফোন বেজে উঠলো। তিনি ফোন ধরে স্যার স্যার করা শুরু করে দিল, স্যার আমি এখনই নিজে গিয়ে একশন নিচ্ছি! এই বলে ফোন রেখে তাড়হুড়ো করে বাইরে বেরিয়ে এসে সামনে ওসিকে পেয়ে বললো, ‘আমার রুমে একজন লোককে রেখে এসেছি, গিয়ে জিজ্ঞেস করবে গীতাঞ্জলি কে লিখেছে এবং উত্তরটা লিখে রেখে পরে আমাকে দিবে।’ ওসি বললো, ‘স্যার কোন চিন্তা কইরেন না আমি এক্ষুনি জেনে নিচ্ছি।’
দুইঘন্টা পরে এসপি ফিরে রুমের ভিতর থেকে কান্নাকাটি, চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পেলেন। অবাক হয়ে রুমে ঢুকে দেখেন চাকুরীপ্রার্থী হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মেঝেতে পড়ে গোংগাচ্ছে, নাকে-মুখে রক্ত! এসপি ওসিকে জিজ্ঞেস করলেন - ‘কী হচ্ছে? আমি তোমাকে একটা প্রশ্নের উত্তর জানতে বলেছি, আর তুমি এর কী হাল করেছো!’
ওসি উত্তর দিলো - ‘স্যার, এই ব্যাটাতো মহা বদমাশ। আমি জিজ্ঞেস করলাম গীতাঞ্জলি কে লিখেছে, সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নামে একজনের নাম বলে। কিছুতেই নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে না। বললাম বাসায় রেইড দিয়ে মদের বোতল উদ্ধার করবো, তাও শয়তানটা ভয় পায় নাই। বারবার একই নাম বলে। পরে দিলাম বাঁশ ডলা, ডিম থেরাপি।
আমাকে এতক্ষন কষ্ট দিয়ে এই মাত্র স্বীকার করছে যে - কোন রবীন্দ্র নাথ-টাথ না, ও নিজে গীতাঞ্জলি লিখছে
এবং সাথে ওর ভাইও জড়িত ছিলো!
এবং সাথে ওর ভাইও জড়িত ছিলো!
বি.দ্র. উপরের ঘটনাটি কাল্পনিক। বাস্তবতার সাথে এর কোন মিল নেই।