Iklan

header ads

তিনবারের বিশ্ব কিক বক্সিং চ্যাম্পিয়ন সিনিস্ত্রা মাত্র ৪১ বছর বয়সে হেরে গেলেন করোনায়

 কি ছোট, কি বড়, কি সবল, কি দুর্বল—টিকাই সবার জন্য করোনার হাত থেকে বাঁচার এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অস্ত্র। সব গবেষণাই এখন পর্যন্ত তেমনই বলছে। টিকা সংক্রমণ পুরোপুরি বন্ধ করতে পারবে না ঠিকই, মৃত্যুও একেবারে শূন্য এখনই করতে পারবে না, তবে বাঁচার-সুস্থ থাকার সম্ভাবনা তো বাড়াতে পারবে। সেই টিকাকে ‘না’ বলেই বুঝি করোনায় প্রাণ হারালেন বেলজিয়ামের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী পুরুষ’ ফ্রেদেরিক সিনিস্ত্রা।

ভদ্রলোক বড়মুখ করে করোনার বিপক্ষে যেন একরকম যুদ্ধই ঘোষণা করেছিলেন। তিনবারের বিশ্ব কিক বক্সিং চ্যাম্পিয়ন সিনিস্ত্রা, করোনাকেও প্রতিপক্ষের মতো উড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন টিকার সাহায্য না নিয়ে। কিন্তু সেই তাঁকেই ৪১ বছর বয়সে কেড়ে নিল করোনা।

ফ্রেদেরিক সিনিস্ত্রা

কয়েক দিন হাসপাতালে থাকার পরেও সংক্রমণ সইতে পারেনি ফ্রেদেরিক সিনিস্ত্রার ফুসফুস। শেষমেশ টিকা না নেওয়াটাই কাল হয়েছে বেলজিয়ামে ‘সবচেয়ে শক্তিশালী পুরুষ’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া সিনিস্ত্রার জন্য।

১৫ ডিসেম্বর মারা গেছেন সিনিস্ত্রা। তাঁর মৃত্যুর খবর সবার সামনে নিয়ে এসেছে ডি টেলিগ্রাফ পত্রিকা। পত্রিকাটি জানিয়েছে, বেলজিয়ামের লিয়েজে মারা গেছেন এই কিক বক্সার। গত নভেম্বরের শেষ দিকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি হয়েছিলেন।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে অবশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবাইকে আশ্বস্ত করেই পোস্ট দিয়েছিলেন সিনিস্ত্রা। লিখেছিলেন, ‘পাশে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আমি বাসায় থেকে সুস্থ হচ্ছি, যেভাবে সুস্থ হওয়ার কথা। আরও হাজার গুণ শক্তিশালী হয়ে আমি সবার মাঝে ফিরব।’

করোনার টিকা নিয়ে সিনিস্ত্রার ধারণা ছিল, টিকা না নিলে হাজার গুণ কি, এক গুণও বেশি শক্তিশালী হওয়া যায় না। এমনকি করোনার সংক্রমণের কারণেই যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, সেটাও খোলাখুলি নিশ্চিত করেননি কোনো গণমাধ্যমের সামনে। শুধু তা-ই নয়, সিনিস্ত্রার মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রীও স্বীকার করতে নারাজ যে স্বামী করোনার কারণেই প্রাণ হারিয়েছেন!

নভেম্বরের শেষ দিকে ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে সিনিস্ত্রা জানিয়েছিলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে আগামী ৪ ডিসেম্বর ফ্রান্সের নিমে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ম্যাচটা স্থগিত করতে হচ্ছে। খুবই বিরক্ত লাগছে, কিন্তু আমি আমার স্ত্রী ও চাচা ওসমান ইগিনের প্রতি কৃতজ্ঞ। অনেক অসুখ-বিসুখ আমার ফুসফুসে আঘাত হানছে।’ সে অসুখ-বিসুখের নাম যে কোভিড, সেটা উচ্চারণ করতেও রাজি ছিলেন না সিনিস্ত্রা!

বেলজিয়ান মিডিয়া আরও জানিয়েছে, হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ছাড়াও পেয়েছিলেন সিনিস্ত্রা। কিন্তু বাসায় ফেরার পরও যে করোনার ধাক্কা অনেক সময় থেকে যায়, সিনিস্ত্রার মৃত্যু সেটি আরেকবার বুঝিয়ে দিল।