তরুণ প্রজন্মের সুপরিচিত গায়ক ইলিয়াস হোসাইনের সঙ্গে গত ১ ডিসেম্বর বিবাহবন্ধনে আবন্ধ হন মডেল ও অভিনেত্রী সুবাহ শাহ হুমায়রা। তবে তাদের সংসার শুরু হতে না হতেই শেষের পথে। সুবাহকে ডিভোর্স দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী কারিনের সঙ্গেই সংসার করতে চান এই গায়ক।
এদিকে ইলিয়াস তার সঙ্গে সংসার করবেন না, এটা বুঝতে পারেন সুবাহ। এরপরই তিনি ইলিয়াসের বিরুদ্ধে মারধরসহ প্রতারণার নানান অভিযোগ আনেন।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) ফেসবুকে নিজের হাত কাটার কিছু ছবি পোস্ট করে সুবাহ লিখেছেন, 'বিয়ের মাত্র এক মাসও হয় নাই, অথচ দেখেন আমার হাতের অবস্থা কি করে দিছে। গায়ক ইলিয়াস সবাইকে বলে, আমি নাকি তাকে মারছি। আল্লাহ তো দেখছে আমার চাচাতো ভাইয়ের সামনে ও (ইলিয়াস) আমাকে ধরে মারছে। এজন্য সেদিন লাইভে আসছিলাম। ও (ইলিয়াস) শুধু বিয়েটা করেছিল আমার শরীর ভোগ করার জন্য, আমার টাকা পয়সার জন্য।'
তিনি আরও জানান, 'হয়তো সে নিজেই এখন হাত-পা কেটে আমাকে ফাঁসানোর জন্য অনেক নাটক সাজাতেও বাকি রাখবে না। কারণ আমি তাকে খুব ভাল করেই চিনি। এটা তার কাছে একটা ব্যবসা।'
এদিকে বাস্তবতা কিছুটা ভিন্ন। ইলিয়াসকে মারধরের অভিযোগে সুবাহর বিরুদ্ধে প্রমাণ মিলেছে। এ বিষয়ে একটি কল রেকর্ড দেশের জনপ্রয় একটি নিউজ মিডিয়ার প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে বলে জানা যায়। যেখানে ইলিয়াসকে মারধর ও অপমানের জন্য সুবাহ দুঃখপ্রকাশ করেছেন।
ইলিয়াস জানান, 'পরপর দুইদিন আমার গায়ে হাত তুলেছে। বিয়ের দশ দিনের মাথায় রাস্তায় গাড়ি চালানো অবস্থায় আমাকে মেরেছে। নরমাল একটি কথায় চোখে হিট করেছে। হুমকি দেয়, গাড়ি থেকে লাফিয়ে পরে আমাকে ফাঁসাবে। এছাড়াও নানান কথা বলে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলাম। জিডি করে এখন কিছুটা স্বস্তিতে আছি।'
তিনি আরও জানান, 'বাংলাদেশে পুরুষ নির্যাতন হয়। তবে তার জন্য কোনও আইন নেই। আমি নির্যাতনের শিকার। সুবাহর আসল উদ্দেশ্য কী- সেটা নিয়ে আমি কনফিউজড। কখনও আমার কাছে টাকা পয়সা চায়নি৷ কিন্তু কথায় কথায় আমার ক্যারিয়ার শেষ করে দেওয়ার হুমকি দেয়। তাই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, কারিনের সঙ্গেই থাকব। সুবাহকে ডির্ভোস দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।'