২০২২ সালের উপযোগী অনলাইনে আয় করার সহজ মাধ্যমসমূহ নিয়ে আজকের আয়োজন। এই আরটিকোলটি স্পনসর করেছে 'আইটিহল'। ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংসহ কর্মমুখী শিক্ষার জন্য যোগাযোগ করুন। কুলাউড়ার রবিরবাজারে আইটিহল এ আপনাদের স্বাগতম।
দ্রুত অনলাইনে আয় করার জন্য কিছু মাধ্যমে চেষ্টা করতে পারেন। সামান্য কিছু ইনভেস্ট করে কয়েকটি মাধ্যমে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে অনলাইনে আয় করতে পারেন। নিচে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হল।
১। গুগল এডমোব এড: আপনারা হয়ত গুগল এডসেন্সের কথা শুনেছেন। বর্তমানে এডসেন্স পাওয়া অনেক কষ্টকর একটি কাজ হলেও গুগলের অন্য একটি সার্ভিস গুগল এডমোব সবার জন্যই উন্মুক্ত। সামান্য কিছু টাকা দিয়ে সাধারণ মানের একটি অ্যাপ ডেভেলাপ করে গুগল প্লেস্টোরে আপলোড করে সহজেই আয় করতে পারেন। এডমোব পাওয়ার জন্য আপনার ২টি শর্ত পালন করতে হবে। এক. একটি মোবাইল অ্যাপ। দুই. অ্যাপটি প্লেস্টোরে পাবলিশ হতে হবে। আপনি অ্যাপ ডেভেলাপার না হলেও এডমোব উপযোগী অ্যাপ ও প্লেস্টোরে পাবলিশ করার জন্য আপনার খরচ হতে পারে ১২০০ - ৫০০০ টাকা মাত্র। আপনার অ্যাপটি যারা প্লেস্টোর থেকে ডাউনলোড দিয়ে ব্যবহার করবে তারা গুগলের এড দেখতে পারবে। সেই এড দেখার জন্য গুগল আপনাকে পে করবে। টুটাল সিসটেমটা গুগল এডসেন্সের মতই। ইউটোবে এবং ব্লগিং এ গুগল এডসেন্স পেতে যারা ব্যর্থ তাদের জন্য এই পদ্ধতিটি সর্বশেষ চেষ্টা হিসেবে কাজে লাগবে।
২। ক্রেডিট কার্ড সার্ভিস: আপনার পার্সপোর্ট আছে? ডুয়েল কারেন্সী সাপোর্ট করে এমন ইন্টারন্যাশনাল কার্ড আছে? যদি না থাকে তবে আজই পাসপোর্ট বানিয়ে নিন আর বাংলাদেশী যেসব ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সী প্রবাইড করে তাদের থেকে কার্ড বানিয়ে নিন। আপনি পেইসবুক বোস্টিং, ডোমেইন হোস্টিং সার্ভিস, প্লেস্টোর একাউন্ট অথবা প্লেস্টোরে অ্যাপ পাবলিশ করে দেয়া ইত্যাদি সার্ভিস প্রবাইড করে অনলাইনে আয় করতে পারেন। এজন্য কোন ওয়েবসাইট না থাকলেও ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারেন।
৩। ডোমেইন বাই সেল: যত দিন যাচ্ছে প্রিমিয়াম ডোমেইনের ক্রাইসিস ততই বাড়ছে। হাই রেংক বা ব্যান্ড ভেলু আছে এমন ডোমেইন আজ থেকেই খুজতে শুরু করুন। ডোমেইনগুলো কিনে পার্ক করে রেখে দিন। লাক ভাল থাকলে ১টি ডোমেইন বিক্রয় করেই বাড়ি গাড়ির মালিক হয়ে যেতে পারেন।
৪। মানি মেকিং ওয়েবসাইট: হাই ট্রাফিক রয়েছে এবং বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ইনকাম হচ্ছে এমন ওয়েবসাইট কিনে অনলাইনে আয় করতে পারেন। ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যেই এমন ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন। ওয়েবসাইট কিনে প্রতিদিন কিছু নতুন কন্টেন্ট পাবলিশ করুন। সাইটের ভিজিটর যত বাড়বে বিজ্ঞাপন থেকে আয় ততই বাড়বে।
৫। লোকাল মার্কেটিং: আপনি হয়ত ওয়েব ডেভেলাপার না কিংবা অনলাইনে প্রফেশনাল কেউ না। যারা অনলাইনে বিভিন্ন সার্ভিস দিচ্ছে তাদের মধ্য থেকে বিশ্বস্থ কয়েকজনকে খুজে বের করুন এবং আপনার কন্টাক্ট লিষ্টে রেখে দিন। এবার খুজে বের করুন আপনার লোকাল মার্কেটে এই সার্ভিসগুলো কারা কারা খুজছে? তাদের সাথে ডিল করুন। আপনি মিডিয়া হিসেবে শতকরা ৭-১৫% ইনকাম করতে পারেন। ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলো যে পারসেন্টিজ নিচ্ছে আপনি সেগুলো নিয়ে আপনার এলাকায় সার্ভিসগুলো প্রবাইড করতে পারেন।
৬। ওয়েব হোস্টিং রিসেলার সার্ভিস: অনলাইনে প্রতিদিন কোটি কোটি নতুন ডোমেইন কেনা হচ্ছে। এই ডোমেইনগুলো পাবলিশ করার জন্য হোস্টিং প্রয়োজন। আপনি ওয়েব হোস্টিং রিসেলার বিজনেস শুরু করতে পারেন। সোশিয়াল মিডিয়ায় এই সংক্রান্ত গ্রুপগুলো ভিজিট করলে নিজেই বুঝতে পারবেন এই সেক্টরে ভাল মানের ওয়েব হোস্টিং এর চাহিদা কেমন।
৭। নিজের একটি অডিয়েন্স তৈরি করে: অনলাইনে নিজের একটি বড় অডিয়েন্স তৈরি করে সেই অডিয়েন্সকে ব্যবহার করে ইনকাম করতে পারেন। আপনার যদি বড় কোন অডিয়েন্স থাকে তবে সেখানে যেকারো সাথে কন্ট্রাক্ট করে তাদের প্রডাক্টগুলো সেল দিয়ে আয় করতে পারেন আবার তাদের প্রডাক্ট বিজ্ঞাপন করেও আয় করতে পারেন।
৮। অ্যানিমেশন ওয়ার্ড: অ্যানিমেশন কাজের চাহিদা বর্তমানে আকাশ চুম্বি। আসলে সব সময়ই এই সেক্টরে বড় একটি চাহিদা আছে। অ্যানিমেশন শিখে নিজে নিজেই কিছু একটা তৈরি করে ইউটোবে পাবলিশ করুন। দেখবেন প্রতিদিন প্রচুর ভিউ পাচ্ছেন। এজন্য অবশ্যই ক্রিয়েটিব মাইন্ড ডেভেলাপ করতে হবে।
উপরের এই ৮টি প্রদ্ধতির মধ্যে কোনটি আপনার ভাল লেগেছে অবশ্যই জানাবেন। তাহলে সেই মাধ্যম নিয়ে আরও আরটিকোল প্রকাশিত হবে।
অনলাইন ভিত্তিক যেকোন সেবার জন্য যোগাযোগ করুন
8801929-766847 (only whatsapp)
শুধুমাত্র হোয়াটসঅ্যাপে নক দিবেন।