১৮ বছরের পরে লম্বা হতে হলে আপনাকে আপনার পায়ের অপারেশন করতে হবে। পায়ের হাড় কেটে সেটা বড় করতে হবে। এই অপারেশন ব্যায়বহুল এবং ১ বছরের ট্রিটমেন্ট। প্রথমে আপনাকে অজ্ঞান করা হবে। এই অপারেশন জেনারেল এনেস্থেশিয়া ছাড়া করা যায় না। আপনি ঘুমিয়ে পড়বেন। সার্জন আপনার দুই পায়ের হাড় কাটবে। আপনি পায়ের গোড়ালির উপরের হাড় লম্বা করতে চাইলে উপরে হাড় কেটে সেখানে রড ঢুকাবে। যদি হাটুর নিচের হাড় লম্বা করতে চান তবে সেখানে হাড় কেটে রড ঢুকাবে। বর্তমানে আধুনিক পদ্ধতিতে এই অপারেশন করা হয়। আগে হাটুর বাইরে একটি মেশিন লাগাতে হত। বর্তমানে হাটুর ভিতরে রড ঢুকিয়ে দেয়া হয়। অপারেশন সম্পন্ন হয়ে গেলে আপনি হাসপাতালের বিছানায় থাকবেন এক সপ্তাহ। এরপরে আপনি তিন মাস কোনোকিছুর সাহায্য ছাড়া হাটতে পারবেন না। এই তিন মাস আপনাকে হাড়ের কাটা জায়গার ব্যবধান বাড়াতে হবে একটি যন্ত্রের সাহায্যে। প্রতিদিন ১ মিলি মিটার করে। ফাঁকা জায়গা বাড়তে থাকবে এবং নতুন হাড় সেখানে হবে। এভাবে অল্প অল্প করে তিন মাসে প্রায় ৩ ইঞ্চি হাড় বাড়াতে পারবেন। এর চেয়ে বেশি বাড়ানো যায় না। এরপরে আপনাকে হাটুর ব্যায়াম করতে হবে। হাড় শক্ত হওয়ার সাথে সাথে পায়ের রগ , মাংসপেশীও বাড়তে থাকে। যাতে পায়ের রগ ও পেশী টান না খায় সেই জন্য ব্যায়াম করতে হবে তিন মাস। এতে রগ ও পেশী নতুন হাড়ের সাথে এডজাস্ট করে নেবে। মোট ৬ মাসে আপনি মোটামুটি কারো সাহায্য ছাড়া হাটার উপযোগী হবেন। বাকি ৬ মাস আপনি স্বাভাবিক হাটাচলা করতে পারবেন। জোরে পারবেন না। ১ বছর পরে আপনার পায়ের ভিতরের রড খোলা হবে আরেকটি অপারেশনের মাধ্যমে। এরপরে আপনি প্রায় ৩ ইঞ্চি লম্বা হয়ে যাবেন।
লম্বা হওয়ার অপারেশন করার পরে প্রথমে আপনাকে ৬ মাস পুরোপুরি ঘরের ভিতরে থাকতে হবে। কোনো কিছুর সাহায্য ছাড়া হাটাচলা করতে পারবেন না। পায়ের ব্যায়াম করতে হবে। এটা একজন ফিজিওথেরাপিস্টের মাধ্যমে করলে ভালো।অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সার্জনের কাছ থেকে অপারেশন করালে রিস্ক কম। অপারেশন ও অপারেশন পরবর্তী ট্রিটমেন্ট একটি ১ বছরের দীর্ঘ প্রক্রিয়া। প্রথম ৬ মাস হাড় ও মাংসপেশী গঠন হবে। পরের ৬ মাস সেটা মজবুত হবে এবং স্বাভাবিকভাবে হাটার উপযোগী হবে। হাটুর বৃদ্ধির ফলে আপনার উচ্চতাও প্রায় ৩ ইঞ্চি বেড়ে যাবে।