মাত্র ৫ বছর বয়সে তিনি বাবাকে হারান। ১৬ বছর বয়সে স্কুল থেকে ঝড়ে পড়েন । ১৭ বছরের মাথায় মোট ৪ বার চাকরী হারিয়েছিলেন। ১৮ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। ১৯ বছর বয়সে তিনি বাবা হন । ২০ বছর বয়সে তার স্ত্রী তাঁকে ফেলে রেখে চলে যায় আর কন্যা সন্তানটিকেও নিয়ে যায় সাথে । সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন এবং সেখানে ব্যর্থ হন । ইনস্যুরেন্স কোম্পানীতে যোগদান করেন এবং সেখানেও সফলতার দেখা পান নি । নিজের মেয়েকে নিজেই অপহরণ করতে গিয়েছিলেন এবং সেখানেও ব্যর্থ হন । চাকরী নিয়েছিলেন রেললাইনের কন্ডাকটর হিসেবে, সুবিধে করতে পারেন নি । অবশেষে এক ক্যাফেতে রাধুনীর চাকুরী নেন । ৬৫ বছর বয়সে তিনি অবসরে গিয়েছিলেন। অবসরে যাবার প্রথম দিন সরকারের কাছ থেকে ১০৫ ডলারের চেক পেয়েছিলেন। তাঁর কাছে মনে হয়েছিল জীবন তাঁর মূল্যহীন । আত্মহত্যা করবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। এরপর একটী গাছের নিচে বসে জীবনে কি কি অর্জন করেছেন তাঁর একটা লিস্ট বানাতে শুরু করলেন। হঠাত তাঁর কাছে মনে হল জীবনে এখনো অনেক কিছু করবার বাকি আছে আর তিনি বাকি সবার চাইতে একটি জিনিসের ব্যাপারে বেশি জানেন- রন্ধনশিল্প । তিনি ৮৭ ডলার ধার করলেন সেই চেকের বিপরীতে আর কিছু মুরগী কিনে এনে নিজের রেসিপি দিয়ে সেগুলো ফ্রাই করলেন। এরপর Kentucky তে প্রতিবেশীদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে সেই ফ্রাইড চিকেন বিক্রি করা শুরু করলেন! জন্ম নিল KENTUCY FRIED CHICKEN তথা KFC র... ৬৫ বছর বয়সে তিনি দুনিয়া ছাড়তে চেয়েছিলেন আর ৮৮ বছর বয়সে এসে Colonel Sanders বিলিয়নার বনে গিয়েছিলেন।