বউকে আর ভাল লাগছে না? একদম সহ্য
হচ্ছে না? দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মত অবস্থায় চলে গেছেন? নিজে মৃত মানুষের মত লাগছে। বউকে
ছেড়ে দিতে চান? আপনার জন্য সহজ এই ট্রিকস। ট্রাই করে দেখুন।
আসলে আমরা যখন একসাথে বাস করি
তখন অনেক সময় অনেক কারণেই মনটা বিষাধে ভরে উঠে। একে অন্যের প্রতি হয়ত অবহেলাও শুরু
হয়। আর বিষাধে ভরা মন নিয়ে সংসার করতে গেলে সংসারে সুখ কিভাবে আসবে? শুরু হয় জগড়া।ধীরে
ধীরে তৃক্ততা এতই বেড়ে যায় যে, রাগের মাথায় আমরা ডিভোর্সের সীদ্ধান্তে চলে যাই। এরকম
পরিস্থিতে আমাদের কি করা উচিত?
আপনার স্ত্রীকে নিয়ে দূরে কোথাও
লম্বা ভ্রমণ বা ট্রুরে চলে যান। এক জন আরেকজনকে নতুন করে জানুন। যে মানুষটাকে ছেড়ে
দিতে চান তাকে ছেড়ে দেয়ার আগে কিছু সময় দুজনে নির্জনে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ
এমন স্থানে গিয়ে সময় কাটান।আগে নিজের মনকে ফ্রেস করুন তারপর সিদ্ধান্ত নিন।হুটহাট করে
সিদ্ধান্ত নিতে যাবেন না। সমস্যাটা কোথায় সেটা বের করার চেষ্টা করুন। দুজন মিলে চেষ্টা
করুন সেটা সমাধান করার। তারপরও কোন ইতিবাচক সমাধান না পেলে দুজন কিছুদিন আলাদা বাস
করুন।
স্ত্রীকে বাবার বাড়িতে রেখে আসুন।
কিছুদিন সম্পূর্ণ আলাদা থাকুন। যোগাযোগ কম করুন। তবে এসময় যোগাযোগ একেবারে বন্ধ করে
দেয়াও ঠিক না। শুধু আলাদা থাকুন আর কমিউনিকেশন আগের মতই একই রাখুন। যদি আপনার স্ত্রীকে
মিস করতে শুরু করেন তবে বুঝবেন আপনার সীদ্ধান্তটি ভুল ছিল। স্ত্রীকে নিয়ে আসুন আর নিজেকে
নতুন করে সাজান। সংসার নতুন ভাবে নতুন চিন্তা চেতনায় শুরু করুন।
আর যদি দেখেন আপনার স্ত্রীকে
মিস করছেন না, তবে কিছুদিন যোগাযোগ বা কমিউনিকেশন বন্ধ করে দিন। হয়ত আপনি মিস করতে
শুরু করবেন। একে অন্যের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে পারবেন। ভালবাসা কিছু অবশিষ্ট থাকলে
সেটা ফিল করতে পারবেন। স্ত্রীকে নিয়ে আসুন আর সংসার শুরু করুন নব্য উদ্দিপনায়।
কিন্তু তারপরও যদি কোন ফিল না
পান। কোন কিছুই কাজ না করে তবে চেষ্টা করুন ডিভোর্স ছাড়াও আলাদা থাকতে। কমপক্ষে ৬ মাস
আলাদা থেকে অপেক্ষা করুন। তারপর সীদ্ধান্ত নিন।
মনে রাখবেন, আপনি হয়ত সব সময়
ঠিক। আপনার স্ত্রী হয়ত সব সময় ভুল। হয়ত আপনাকে একটুও বুঝেন না তিনি। হয়ত কোন সম্মানও
অবশিষ্ট নেই। তারপরও ক্ষমা করে তাকে নিয়ে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেয়া যাবে। তুমি অধম তাই
বলে আমি উত্তম হইব না কেন?
ডিভোর্সের উপযুক্ত কোন কারণ যদি ঘটে থাকে তবে সেটা আলাদা। আপনার স্ত্রী যতদিন পরকিয়ার মত পাপে লিপ্ত না হচ্ছেন ততদিন তাকে ক্ষমা করে দিয়ে সংসার করে যাওয়াই ভাল।
আরও পড়ুন -