বাংলা প্রথম পত্রের পর এইচএসসির বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায়ও সিলেবাসের বাইরে থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে। ঢাকা বোর্ডের অধীনে গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় রচনামূলক অংশে সর্বনাম থেকে ৫ নম্বরের একটি প্রশ্ন থাকলেও সংশ্লিষ্ট অংশটি সিলেবাসে ছিলো না বলে অভিযোগ তুলেছেন পরীক্ষার্থীরা। ঢাকা বোর্ডের সিলেবাস পর্যালোচনা করে পরীক্ষার্থীদের দাবির সত্যতা পেয়েছে দৈনিক আমাদের বার্তা। এর আগে ঢাকা বোর্ডের বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায়ও দুটি এমসিকিউ প্রশ্ন সিলেবাসের বাইরে থেকে এসেছিলো। এ পরিস্থিতিতে সিলেবাসের বাইরে থেকে প্রশ্ন প্রণয়ন করা সেটার ও মডারেটরদের কঠোর বার্তা দিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। তিনি বলেছেন, সিলেবাসের বাইরে থেকে প্রশ্ন করা সেটার ও মডারেটরদের শোকজ করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর পরীক্ষার্থীরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়েও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি পরীক্ষার্থীদের সিলেবাসের বাইরে থেকে আসা প্রশ্নের বিষয়ে শিক্ষা বোর্ডকে জানানোরও পরামর্শ দিয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এইচএসসির বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে সন্ধ্যায় ঢাকা বোর্ডের কয়েকজন শিক্ষার্থী সিলেবাসের বাইরে থেকে আসা প্রশ্নে বিষয়টি দৈনিক আমাদের বার্তার নজরে আনেন। ঢাকা বোর্ডের এক শিক্ষার্থী দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানান, প্রথম পত্রের মতোই বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষাতেও সিলেবাসের বাইরে থেকে প্রশ্ন এসেছে। সর্বনাম পদে সংজ্ঞা ও এর শ্রেণিবিন্যাস পরীক্ষায় এসেছে, কিন্তু পরীক্ষার জন্য বোর্ড থেকে প্রকাশিত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে সর্বনাম পদের শ্রেণিবিভাগ ছিলো না।
ঢাকা বোর্ডের বাংলা দ্বিতীয় পত্রে সেট ১ এর প্রশ্ন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২ নম্বর প্রশ্নে বলা হয়েছে, সর্বনাম পদ কাকে বলে? সর্বনাম পদের শ্রেণিবিভাগ নিয়ে আলোচনা করো। ৫ নম্বরের এ প্রশ্নটির বিকল্প প্রশ্ন ছিলো, ব্যাসবাক্যসহ পাঁচটি শব্দের সমাস নির্ণয়। ঢাকা বোর্ড থেকে প্রকাশিক ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসির বাংলা দ্বিতীয় পত্রের সিলেবাস পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিশেষ্য, বিশেষণ, ক্রিয়াপদ ও আবেগের শ্রেণিবিভাগ সিলেবাসে থাকলেও সর্বনাম ছিলো না। তবে সিলেবাসের বাইরে থেকে আসা ওই প্রশ্নটির সংশ্লিষ্ট বিষয় অর্থাৎ সমাস সিলেবাসে ছিলো।
পরীক্ষার্থীরা বলছেন, বিকল্প প্রশ্নটি সিলেবাস থেকে আসায় সমস্যা হয়নি। সিলেবাসের বাইরে থেকে প্রশ্ন আসার বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে ঢাকা বোর্ডের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জাহিদ বক্ত চৌধুরী দৈনিক আমাদের বার্তার কাছে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, পরীক্ষার্থীদের প্রতি পরামর্শ থাকবে, সিলেবাসের বাইরে থেকে আসা প্রশ্নের বিষয়টি বোর্ডকে লিখিতভাবে জানানোর। সিলেবাসের বাইরে থেকে প্রশ্ন আসার বিষয়টি আমরা পর্যালোচনা করে দেখবো। সিলেবাসের বাইরে থেকে প্রশ্ন এসে থাকলে সেটার ও মডারেটরদের সঙ্গে বসে তাদের কৈফিয়ত তলব করা হবে। তাদের শোকজ করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।