যশোরের চৌগাছায় শিক্ষিকার থাপ্পড়ে পান্না নামের পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর কানে জটিলতা দেখা দিয়েছে। শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার না করায় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নার্গীস পারভীন তাকে থাপ্পড় মারেন বলে অভিযোগ তুলেছে ওই শিক্ষার্থীরা পরিবার। গত রোববার যশোরের চৌগাছা উপজেলার বহিলাপুতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। তবে, গতকাল মঙ্গলবার ওই শিক্ষার্থী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসলে বিষয়টি জানাজানি হয়। মঙ্গলবার ওই শিক্ষার্থীর মা যশোর জেলা প্রশাসককে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। চিকিৎসক বলছেন, তার কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার শঙ্কা আছে, সেখানে পানি জমেছে। অভিযোগের অনুলিপি পেয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিষয়টি প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন। তদন্তের সময় অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক নারগিস পারভীন একটি থাপ্পড় মেরেছেন বলে স্বীকার করেছেন। তবে, এতে ওই শিক্ষার্থী কান ফেটে গিয়েছে কিনা তা জানেন না বলে তিনি শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার দুপুরে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুর রহমান ওই বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান। তিনি যখন অফিসে বসে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলছিলেন তখন সহকারী শিক্ষক নারগিস পারভীন ওই শিক্ষার্থীকে একটি সিড়ি ঘর ঝাড়ু দিতে বলেন। ঝাড়ু না দেয়ায় পান্নাকে ডেকে শিক্ষক নার্গিস পারভীন বাম কানে তিনটি থাপ্পড় মারেন। এতে পান্নার কনের জটিলতা দেখা দেয়। ওই শিক্ষার্থী বাড়ি গেলে সন্ধ্যার তার জ্বর এবং কানে ব্যাথা শুরু হয়। পরে, সে মায়ের কাছে বিষয়টি বলে। পরের দিন মঙ্গলবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানকার ডাক্তার আকিব হোসেন তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। তার কানের পাতলা পর্দা ফেঁটে যেতে পারে। সেখানে পানি জমে রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. আকিব বলেন, মেয়েটি কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। কানের মধ্যে পানি জমে রয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বিষয়টি প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হবে। তিনি নির্দেশ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।