বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশের শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও এগিয়ে আসতে হবে। শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। মেধাবী শিক্ষার্থীরাই কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবে। এলাকার উন্নয়নে রাজনীবিদদের পাশাপাশি শিক্ষিত মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে। চাকরির প্রত্যাশায় না থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মেধা কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়নে মনোনিবেশ করতে হবে। তবেই দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি ত্বরান্বিত হবে। গুণীর গুনগান না গাইলে দেশে গুণীজন সৃষ্টি হয় না। এজন্য গুণীজনদের যথাযথ সম্মান করতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে নড়াইলের লোহগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের কার্যক্রম ও বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম অধ্যাপক এস এম রোকন উদ্দিন আহমেদের নামে চারতলা ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ তাঁর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম অধ্যাপক এস এম রোকন উদ্দিন আহমেদের নামে একটি শিক্ষা ট্রাস্ট চালু করা হবে বলে ঘোষণা দেন। সেই ট্রাষ্ট থেকে অসহায় ও মেধাবীরা প্রতিবছর শিক্ষাবৃত্তি পাবেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান আখ্যায়িত করে সেনাপ্রধান আরও বলেন, তাঁদের জন্যই দেশ আজ স্বাধীন। জীবন বাজি রেখে তাঁরা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন বলেই আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। তাদের অবদান জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে জাতি স্মরণ করবে।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এলাকার সমস্যা ও সম্ভাবনার বিষয়ে আরও বলেন, মধুমতি নদীর ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক সংস্কার ও নির্মাণ করা হবে। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রবীণ সমাজসেবক এলাহী মোল্যার সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাইফুর রহমান, মল্লিকপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. মহসিন উদ্দিন ও ইউপি সদস্য মো এমদাদুল হক মল্লিক। এর আগে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ও তার স্ত্রী নুরজাহান আহমেদ সড়ক পথে পদ্মা ও মধুমতি সেতু পার হয়ে লোহাগড়ার মধুমতি আর্মি ক্যাম্পে পৌঁছান।