কুলাউড়া উপজেলার মধ্যে সরকারের আর্থিক আয়ে অতি উল্লেখযোগ্য কমর্ধা ইউনিয়ন। এখানে যেমন রয়েছে সবুজের সমারোহ ঘেরা উচু পাহাড়,পান পুঞ্জি, চা বাগান আর রসালো আম কাঠাল ও আনারসের শত শত টিলা।তেমনি রয়েছে ফানাই নদীর বালু মহালসহ আরো অনেক প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। জনসংখ্যা ও আয়তনের দিকদিয়ে কর্মধা ইউনিয়ন এগিয়ে।আর তাই নিয়মতান্ত্রিক ভাবে কর্মধা ইউনিয়নের সরকারি বরাদ্দ ও বেশি।
গত নির্বাচনে মুজিবুল হক হারুন নির্বাচিত হয়েছিলেন, আমরা উনার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।উনার মৃত্যু জনিত কারনে এ ওয়ার্ডে উপনির্বাচন। মনসুরপুর পাট্টাই,ও ভান্ডারীগাঁও এ ৩টিগ্রাম নিয়ে কর্মধা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড গঠিত।
এখানে রয়েছে,দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, অনেক মসজিদ মক্তব,দুটি ঈদগাহ ও কয়েকটি মন্দির এবং একটি মুনিপুরী সাংস্কৃতিক একাডেমী। কিন্তু দুঃখজনক হলে ও সত্যি যে, এ ৬নং ওয়ার্ডের যোগাযোগ ব্যবস্থা বড়ই নাজুক।
এখানে ২/৩ কিলোমিটার পাকা রাস্তা আছে,তাও আজ থেকে ১৫ বছর আগের হবে।আর সর্বোচ্চ ৬/৭ কিলোমিটার হবে কাঁচা রাস্তা।যা দীর্ঘ ৩০ বছরে ও কোন একটি রাস্তা সম্পূর্ণ হয়নি।।
বিশেষ করে মনসুরপুরের পূর্বদিক নাজুকতার মধ্যে আরো নাজুক অবস্থা। বর্ষাকালে স্কুল, কলেজে যাতায়াতকারি শিক্ষার্থীরা তাদের একাডেমিক ড্রেস গায়ে দিয়ে ইজ্জত রক্ষা করে চলতে পারে না।স্কুলের ছোট ছোট শিশুরা কাদামাখা গর্তে পিছলে পড়ে যায়।কাদা পানি গায়ে লেগে একাকার হয়ে যায়।কোন ডেলিভারি রোগী বা ইর্মাজেন্সি রোগি হাসপাতালে নিতে হলে ছোট একটি CNG পর্যন্ত আসতে চায় না।
আর যদি কারো কোন অনুর্ষ্টান বাদলা সময় পড়ে যায়। তাহলে তো আর রক্ষা নেই,আত্মীয় স্বজনের নিকট অনেক ছোট হতে হয়।
প্রতিবার জনগণ তাদের বুকভরা আশা নিয়ে দুঃখ দুর্দশা লাঘবের জন্য ভোট দেন,কিন্তু তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেনা।
আগামী ২৫ মে ২০২৩,আবার ও তাদের দুঃখের তিলক রেখা ঘোচানোর জন্য উপনির্বাচনে ভোটদিয়ে মেম্বার নির্বাচন করবেন।সেই লক্ষেই প্রার্থীরা ও ধবধবে সাদা পাজামা পাঞ্জাবি পরে ৩ গ্রামের অলিগলির ঘাস মাড়িয়ে চলছেন।আর শত শত আশার বাণী শোনাচ্ছেন।কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সাধারণ মানুষের কাছে তা মরিচীকার মতোই রয়ে যায়।
ভুক্তভোগীরা জানায়, তারা বিভিন্ন সময় একেবারে নাজেহাল অবস্থায় চাঁদা তুলে ইটের সুড়কি দিয়ে রাস্তা মেরামত করান।এবার তাঁরা আর মিথ্যে আশার বাণী শোনতে চায় না,তারা যৎসামান্য ভাতা চায় না।তারা রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ও চায়।বর্ষাকালে যাতে নির্বিঘ্নে হাঁটাচলা করতে পারে।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি কি পারবেন জনগণের প্রত্যাশা পুরণ করতে?
সে প্রত্যাশীত উত্তরের অপেক্ষায়।
এলাকাবাসীর পক্ষে,
মোঃ মাজহারুল ইসলাম
সহকারী শিক্ষক
মনসুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
০৫-০৫-২০২৩