স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত অনিবন্ধিত সংগঠন জামায়াতে ইসলামী। তাই কর্মসূচি পালন করতে হলে তাদের অবশ্যই পুলিশের অনুমতি নিতে হবে। এ সময় জামায়াতের চার নেতার আটকের বিষয়ে প্রশ্ন করলে জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জামায়াতে ইসলামীর চার নেতা কমিশনার সাহেবের কাছে আসছিলেন, এরকম তথ্য আমরা পেয়েছি। আমাদের পুলিশ অফিসাররা হয়তো ভুল ইনফরমেশনের কারণে তাদের ‘ই’ করেছিলেন। পরে যখন কনফার্ম হয়েছেন যে তারা মিটিং করার জন্য কমিশনারের কাছে এসেছেন, তখন তাদের ছেড়ে দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩০ মে) ঢাকার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, পুলিশের কাছে হয়তো জামায়াতের ওই চার আইনজীবী সম্পর্কে ভুল তথ্য ছিল। ৫ জুন ঢাকায় বায়তুল মোকাররমের উত্তর ফটকে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন দিতে সোমবার বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন জামায়াতের চারজন আইনজীবী নেতা। এ সময় তাদের আটক করে পুলিশ। সেখানে তাদের অন্তত দুই ঘণ্টা আটকে রাখার অভিযোগ তুলে তারা।
বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুরোটা আমি ঠিক জানি না। তবে তারা একসঙ্গে মিটিং করছিলেন এরকম ইনফরমেশন ছিল। রাষ্ট্রবিরোধী কিছু করছিল কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা তো আমি জানি না। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর সভা-সমাবেশে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বাধা দেওয়া হচ্ছে না দাবি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সভা-সমাবেশ করতে কোনো রাজনৈতিক দলকেই বাধা দেওয়া হচ্ছে না।
আপনারা সবই দেখছেন, তারা বড় বড় সভা করছেন। সবখানেই তারা অবস্থান নিচ্ছেন, তারা পদযাত্রা করছেন, তারা মানববন্ধন করছেন কোনোটাতেই সরকার বাধা দিচ্ছে না। জামায়াতের বিষয়ে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী এখন কিন্তু ইলেকশন কমিশনের দ্বারা স্বীকৃত নয়। সুতরাং তাদের কোনো কিছু করতে হলে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের পারমিশন লাগবে। সেই পারমিশন নিয়ে যদি তারা কোনো কিছু করে, তাহলে সেটা সিদ্ধ হবে। না হলে তো সেটা সঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।