Iklan

header ads

মানব মস্তিষ্কে চিপ স্থাপনের বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষার অনুমতি পেয়েছে ইলন মাস্ক

মানব মস্তিষ্কে চিপ স্থাপনের বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষার অনুমতি পেয়েছে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন ব্রেইন-ইমপ্লান্ট কোম্পানি নিউরালিংক। 


যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) কাছ থেকে প্রথম ইন-হিউম্যান ক্লিনিক্যাল স্টাডি শুরুর সবুজ সংকেতও পেয়েছে সংস্থাটি। ইলন মাস্কের ব্রেইন-চিপ ফার্ম জানিয়েছে, নিউরালিংক ইমপ্লান্ট কোম্পানি কম্পিউটারের সঙ্গে মস্তিষ্ককে সংযুক্ত করে মানুষের দৃষ্টিশক্তি এবং গতিশীলতা আনতে সহায়তা করতে চায়। 

রয়টার্স বলছে, ২০২২ সালের গোড়ার দিকে নিউরালিংক সংস্থাটি এফডিএ’র অনুমোদন চেয়েছিল। সে সময় নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করা হয়। নিউরালিংক আশা করছে, প্যারালাইসিস ও অন্ধত্বের মতো অবস্থার চিকিৎসা এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কম্পিউটার ও মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে সহায়তা করার জন্য মাইক্রোচিপ ব্যবহার করা হবে। 

নিউরালিংক ঘোষণা দিয়েছে, ‘এ খাতে এমনটা প্রথম ঘটতে যাচ্ছে। আমরা উচ্ছ্বসিত যে, আমরা প্রথমবার মানুষের মস্তিষ্কে চিপ স্থাপনের (ইমপ্ল্যান্ট) বিষয়ে পরীক্ষা চালানোর জন্য এফডিএ’র অনুমতি পেয়েছি। এটি মূলত নিউরালিংকের সঙ্গে এফডিএ’র ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ফলাফল।’  

পক্ষাঘাত ও অন্ধত্বের মতো শারীরিক সীমাবদ্ধতার চিকিৎসা এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কম্পিউটার ও মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহারে সহায়তার উদ্দেশ্যে এসব মাইক্রোচিপ ব্যবহারের লক্ষ্য স্থির করেছে নিউরালিংক।

 এর আগে বানরের ওপর পরীক্ষা চালানো এসব চিপ এমনভাবে নকশা করা, যাতে এর মাধ্যমে মস্তিষ্কে উৎপাদিত বিভিন্ন সংকেত ব্যাখ্যা করতে পারার পাশাপাশি ব্লুটুথের মাধ্যমে বিভিন্ন ডিভাইসে সেই সব তথ্য পাঠানো যায়। ২০১৬ সালে মাস্কের নিউরালিংক প্রতিষ্ঠানটি বারবার তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের গতিকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল, ২০২০ সালে মানুষের মস্তিষ্কে চিপ লাগানো শুরু করা। পরে অনুমোদন না পেলে ২০২২ সালে কাজটি শুরু করার অঙ্গীকার করে। গত বছরের ডিসেম্বরে এই পরিকল্পনা আরও একবার ধাক্কা খেয়েছিল। তবে এবার তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষার অনুমোদন পেল।